দেবর-ননদ মিলে নিঃসন্তান বিধবার ঘরে তালা ঝুলিয়ে দিলেন

বগুড়ার ধুনট উপজে’লায় এক বিধবা নারীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা ঝুলিয়ে দেয়ার অ’ভিযো’গ উঠেছে তার দেবর-ননদের বি’রু’দ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজে’লার নিমগাছী ইউনিয়নের ধামাচামা গ্রামে। ভু’ক্তভো’গী নারীর নাম তাপসী খাতুন। তিনি ওই গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী’।

ভু’ক্তভো’গী তাপসী জানান, সম্প্রতি তার স্বামী মা’রা গেছেন, তিনি নিঃ’স’ন্তান। এ কারণে তাকে বাড়িতে থাকতে দিচ্ছে না শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এমনকি তার ঘরে তালা ঝুঁ’লিয়ে দেয়া হয়েছে। ঘরে ঢুকলে তাকে মে’রে ফে’লা হবে বলে হু’ম’কিও দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, তার দেবর-ননদসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন সবাই মিলে তার ঘরে তা’লা ঝু’লিয়ে দিয়েছে।

তার ননদ আনজুমনোয়ারা বেগম নাইস বলেন, আমা’র ভাইয়ের কোনো সন্তান নেই। সেকারণে তাপসীর আমাদের বাড়িতে থাকার কোনো অধিকার নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাহাঙ্গীর আলম ২০০১ সালে তাপসী খাতুনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। তারা দুজনই একই গ্রামের বাসিন্দা। তবে এ বিয়ে মেনে নেননি তাপসীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে জাহাঙ্গীর ওই গ্রামেই আলাদা বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে আসছিলেন। জাহাঙ্গীর আলম গত ৭ ফেব্রুয়ারি ডায়াবেটিসজনিত রো’গে আ’ক্রা’ন্ত হয়ে হাসপাতা’লে মা’রা যান। তাদের ২০ বছরের সংসার হলেও কোনো সন্তান নেই। জাহাঙ্গীরের মৃ’ত্যু’র পর তার সম্প’ত্তি ভো’গ-দখল করে আসছিলেন তাপসী।

এ সম্পত্তি নিয়েই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনের সঙ্গে তার ঝগ’ড়া শুরু হয়। শুক্রবার স্থানীয়ভাবে সালিশ-দরবার করা হলেও কোনো স’মাধান হয়নি। সালিশের সভাপতি বীর মু’ক্তিযো’দ্ধা লুৎফর রহমান বলেন, আগামী ৭দিনের মধ্য আরেকটি সা’লিশ বৈঠক বসানো হবে।